আইনজীবী - আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা
আইনজীবী পেশা বা শব্দটি একটি পরিচিত পেশা বা শব্দ। আইজীবী পেশাটি আমাদের দেশে আরো দুইটি নামে পরিচিত যথা অ্যাডভোকেট ও উকিল। আপনি যদি এই প্রথম আইনজীবী পেশা বা পদবীটি সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য বলছি- "আইনজীবী, উকিল কিংবা অ্যাডভোকেট হলেন এমন একজন ব্যক্তি জিনি আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন তাত্বিক বিষয় গুলোর বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আইনি সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন।"
উকিলরা সাধারণত বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক মামলা মোকাদ্দমা পরিচালনা, বিভিন্ন আইন-কানুন এবং নীতিমাল অনুধাবন, বিভিন্ন দলিল ও চুক্তি তৈরি করা সংক্রান্ত কাজগুলো করে থাকে।
ক্যারিয়ারঃ আইনজীবী পদবীটি অনেক সম্মানিত একটি পেশা বা পদবী। আইনজীবী বা উকিল দের পদোন্নতির ধারা সুনির্দিষ্ট হয়ে থাকে। পর্যায়ক্রমে আপনি নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত এবং আপিল বিভাগ পর্যন্ত কাজ করতে পারেন ৷ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সহকারী জজ হিসেবে কাজ শুরু করে সিনিয়র জেলা জজ, যুগ্ন জেলা জজ,অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজ পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে বলতে পারি সম্মানজনক এই পেশার মাধ্যমে ভালো পরিমাণ উপার্জন করার জন্য এই পেশা বা পদবী অতুলনীয়।
একজন আইনজীবী
- পদবীঃ আইনজীবী, অ্যাডভোকেট, উকিল ইত্যাদি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি প্রাপ্ত হতে হবে। আইনজীবী হতে হলে আপনার অবশ্যই দুইটি শর্ত মানতে হবে আর তা হলো-
আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
আপনার বয়স কমপক্ষে একুশ বছর হতে হবে
বার কাউন্সিলের সনদ পাওয়ার জন্য আবেদন করার পর অবশ্যই কোনো সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে কমপক্ষে ছয় মাস কাজ করতে হবে। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলেই উকিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। এরই সাথে সাথে আপনি নিম্ন আদালতে কাজ করা শুরু করতে পারবেন। হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগে কাজ করার জন্য আপনাকে দুইটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগুতে হবে যথা-
হাইকোর্টে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিম্ন আদালতে কমপক্ষে দুই বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
আপিল বিভাগে কাজ করার জন্য আপনাকে হাইকোর্টে কমপক্ষে পাঁচ বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
- প্রতিষ্ঠানঃ সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
- ধরনঃ ফুল টাইম।
- অভিজ্ঞতাঃ প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- স্কিলঃ অবশ্যই যুক্তি সহ কথা বলার সক্ষমতা থাকতে হবে, গবেষণা করার দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, ব্যবসা বোঝা, যোগাযোগে পারদর্শিতা ইত্যাদি।
- বেতনঃ কাজ ও প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষে ২০০০০-৫০০০০ টাকা পর্যন্ত দেয়া হয়ে থাকে।
কাজঃ পূর্বেই উকিল বা অ্যাডভোকেট দের কাজ সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা দিয়েছি। সাধারণত একজন আইনজীবী যেই ধরণের কাজ গুলো করে থাকে সেই গুলো হলো-
- ক্লায়েন্ট এর মামলার ধরন বোঝা এবং সেই অনুযায়ী গবেষণা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- নিয়মিত ক্লায়েন্ট, সহকর্মী এবং বিচারক গণের সাথে যোগাযোগ করা।
- ক্লায়েন্টকে যথাযথ আইনি পরামর্শ দেয়া ও সফল ভাবে মামলার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা।
- প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনের সময় অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের ধরন জেনে নেয়া ও সেই অনুযায়ী দলিল, চুক্তি ও আনুষাঙ্গিক কাগজ পত্র প্রস্তুত রাখা।
- প্রতিষ্ঠানের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা ও আইনী জটিলতা পরার পূর্বেই বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা এবং আইনী জটিলতায় পরলে তা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
উল্লেখিত কাজ গুলো ছাড়াও একজন আইনজীবীকে প্রতিষ্ঠানের ধরন বা ক্লায়েন্ট এর প্রয়োজন অনুযায়ী আইন সংক্রান্ত আরো নানা ধরণের কাজ করার প্রয়োজন পরে থাকে।
পড়বেন কোথায়?
আমাদের দেশে অনেক নামকরা সরকারি ও বেলা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেই প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে আপনি আইনে বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স কিংবা আইনে বিষয়ে ডিগ্রী নিতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনাকে আইনজীবী পেশা বা পদবী সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা দিতে পেরেছি। আপনার যদি এই পেশা সম্পর্কে আরো কিছু জানার প্রয়োজন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আমরা আপনার কমেন্ট এর যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া আপনি আরো কি বিষয়ে জানতে চান তা লিখেও কমেন্ট করতে পারবেন।
পাঠক আমরা "চাকরি নিন" ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য প্রকাশিত চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংগ্রহ করে প্রকাশ করে থাকি। নিয়মিত সকল ধরণের চাকরির খবর দেখতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url