কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া ভাল

 

কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া ভাল

নতুন দম্পতি বা বাবা মায়েরা আগে থেকেই অনেক প্ল্যান করতে থাকেন ভবিষ্যতে কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া ভাল। তাছাড়াও তাঁদের সন্তান সন্ততির ভবিষ্যত নিয়ে নানামুখী পরিকল্পনা করে থাকেন। এমনকী, সন্তান কোন মাসে জন্মালে তাঁদের সুবিধা, সন্তানের জন্মের শুভ দিন সবটাই আগে থেকে ছক কষে ফেলেন অনেক দম্পতিই। কিন্তু জানেন কি কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া ভাল।


আপনার সন্তানের পক্ষে সবচেয়ে ভালো। সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্তটি এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা ক্যারিয়ার, পড়াশোনা, দাম্পত্য জীবন গুছিয়ে নেওয়া ইত্যাদি হিসাব-নিকাশ করে আধুনিক নারীরা সন্তান নিতে চান। কিন্তু সন্তান নেওয়ার কোনো আদর্শ সময় আছে কি?

গরম কাল: যদি আপনার সন্তান জন্মায় গরমকালে তাহলে আপনার বাচ্চার ওজন বাড়ে তাড়াতাড়ি। গরমে বাচ্চা একটু বেশি কষ্ট পায় ঠিকই, তবে এই সময় ঠাণ্ডা লাগার ভয় থাকে কম। রোগের সম্ভাবনাও থাকে কম। আর বাচ্চার ফ্যশনের জন্য এই সময় আদর্শ। সোয়েটারের চিন্তা নেই। মনের সুখে ফ্যাশনেবল পোশাকে বাচ্চাকে সাজাতে পারেন।

বর্ষা কাল: বর্ষাকালে আপনার সন্তান জন্মালে ভয় থাকে ঠাণ্ডা লাগার। বাচ্চার পেটের সমস্যাও হতে পারে। তাই বর্ষাকাল আপনার শিশু জন্মালে তাকে খুব সাবধানে রাখা উ়চিৎ।

শরৎকাল: শরৎকালের আবহাওয়া বেশ মনোরম হওয়া সত্ত্বেও প্রাক-শীতের এই সময়ে বাচ্চা জন্মালে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি।

শীত কাল: শীতকালে যদি আপনার শিশু জন্মায় তাহলে গরমে কষ্ট পাওয়ার ভয় মোটেই থাকে না। তবে এই সময়ের শিশুরা উষ্ণতা ভালোবাসে। সব সময় কোলে থাকতে চায়। শীতকালে সন্তান হলে তাঁকে বেশি স্তনদুগ্ধ পান করানো উচিৎ মায়ের। এতে শিশুর শরীর গরম থাকে।

বসন্ত কাল: বসন্তকালে যদি আপনার ঘরে আসে নতুন অতিথি তাহলে সব দিক থেকেই তা ভালো। এই সময় পরিবেশ থাকে নাতিশীতোষ্ণ। তাই শিশুকে বেশি গরমে বা কনকনে ঠাণ্ডায় কষ্ট পেতে হয় না। আর শিশু এই সময় জন্মালে তাঁর স্কুলে অ্যাডমিশন পাওয়া সহজ হয়। তবে এই সময়েই রোগের প্রকোপ থাকে তুলনামূলক বেশি। তাই বাচ্চার যত্ন নিন।

চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলছে

কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া ভাল চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলছে আগে মনে করা হতো, ২০ বছরের আগে প্রথম সন্তান নেওয়া ভালো। এখন সময় বদলেছে। মেয়েরা ক্যারিয়ারের জন্য কিছুটা দেরিতে বিয়ে করছে। তবে এখনো চিকিৎসকেরা বলেন, প্রথম সন্তানটি ২৫ বছর বয়সের আগে নিলে ভালো। সমীক্ষা বলে, ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে প্রজননক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। ৩৫ বছরে পর ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যায় আরও বেশি।

এ ছাড়া এ বয়সে গর্ভধারণের পরে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, প্রসব-পূর্ব রক্তক্ষরণ ও প্রসবকালীন জটিলতা বেড়ে যায়। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, জন্মগত ত্রুটিযুক্ত এবং ডাউন সিনড্রোম সন্তান জন্মদানের হার অনেক বেশি হয়, যদি মায়ের বয়স বেশি থাকে। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবে হার কমে যায় এবং অস্ত্রোপচারে জন্ম বেশি হয়।

অনেকে প্রথম সন্তানটি নেওয়ার পর ক্যারিয়ার গুছিয়ে নিতে একটু দীর্ঘ বিরতি নেন। পরে মা হওয়ার জন্য কয়েক মাস চেষ্টার পরেই অনেকে অধৈর্য হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। তারপর প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।তবে সুস্থ শিশু জন্মদানের জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনের বয়সের দিকেই খেয়াল রাখা উচিত।

নারীদের ৩০ বছরের মধ্যে এবং পুরুষদের ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথম সন্তান নিয়ে নেওয়া ভালো। তারপরও একটু বেশি বয়সে সন্তান নিতে হলে একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকা ভালো, কেননা এই গর্ভধারণগুলোতে জটিলতা হতে পারে।

"প্রিয় পাঠক" আশা করছি কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া ভাল সংক্রান্ত নানা তথ্য জানিয়ে আপনাকে সহায়তা করতে পেরেছি। আপনার যদি উক্ত বিষয় সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে দয়াকরে কমেন্ট করবেন। আমরা আপনার কমেন্টের যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া আপনি আরোও কি বিষয়ে জানতে চান তা লিখেও কমেন্ট করতে পারেন।

পাঠক আমরা "চাকরি নিন" ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য প্রকাশিত চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো সংগ্রহ করে প্রকাশ করে থাকি। নিয়মিত সকল ধরণের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url