ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

অটোমোবাইল টেকনিশিয়ান

যে পরিমাণে ইন্ডাস্ট্রি আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে বা উঠছে তাতে করে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে ও বিদ্যুত সংক্রান্ত পেশা বা পদবী গুলোর চাহিদাও বাড়ছে। শুধু যে ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যুত ও বিদ্যুত সম্পর্কিত পদের চাহিদা বেড়েছে তা কিন্তু নয়, প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই এখন বিদ্যুত বা ইলেক্ট্রিসিটি সংক্রান্ত পেশ বা পদবীর চাহিদা বেড়েছে। 

ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুত সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য একটি পেশা বা পদবী হলো ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। আমরা এখন মূলতো এই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পেশা বা পদবী সংক্রান্ত আলোচনা করবো।

আরো পড়ুনঃকম্পিউটার অপারেটর

বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি ও উপকরণ তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মেরামতের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা।

ক্যারিয়ারঃ যদি কেউ সামরিক বাহিনীতে উক্ত বিষয় সংক্রান্ত কোরে নিয়োগ পায় তাহলে সে মেজর হতে পারবে এবং পরবর্তীতে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে মেজর জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি সে পেতে পারে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত পদন্নোতি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও যদি কোনো ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কোনো শিল্প কারখানা কিংবা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তাহলে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি শুরু করে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জেনারেল ম্যানেজার কিংবা হেড অব অপারেশনস পর্যন্ত পদন্নোতি পেতে পারে।

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

• পদবীঃ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
• শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা ও স্নাতক-স্নাতকোত্তর বা বিএসসি-এমএসসি ডিগ্রীধারী চাওয়া হয়ে থাকে ( শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হতে পারে বা পদবী কি তার উপর নির্ভর করে ঠিক করা হতে পারে )।
• প্রতিষ্ঠানঃ সরকারি-বেসরকারি, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি।
• ধরনঃ ফুল-টাইম।
• অভিজ্ঞতাঃ ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে বিভিন্ন শিল্প কারখানা গুলোতে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যেতে পারে ( সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী )।
• স্কিলঃ বৈদ্যুতিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সংক্রান্ত জ্ঞান, পাওয়ার ইন্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত জ্ঞান, গাণিতিক জ্ঞান ও দক্ষতা, সৃজনশীল উপায়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে পারদর্শিতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, সকলের সাথে কাজ করার মানুসিকতা, ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করার পারদর্শিতা, বিভিন্ন কাজ একই সাথে করার দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা, ধৈর্য্য ইত্যাদি।
• বেতনঃ প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষে বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ২০-৩০ হাজার টাকার ভিতর থেকে শুরু হয়ে থাকে।

কাজঃ সাধারণত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ যেই ধরণের কাজগুলো করে থাকে সেই গুলো হলো-

• প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ধারণা নেয়া ও প্রতিষ্ঠান এবং এর দায়িত্ব অনুযায়ী সুন্দর কাজের পরিকল্পনা করা
• বিভিন্ন বৈদ্যতিক যন্ত্রপাতি ও উপকরণের নকশা তৈরি করা এবং সেই গুলো নকশা অনুযায়ী তৈরি করা
• তৈরিকৃত যন্ত্রপাতি ও উপকরণ গুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা
• কোনো যন্ত্রপাতি বা উপকরণ কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হয়ে গেলে তা ঠিক করা বা মেরামত করা
• সঠিকভাবে প্রতিটি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ দেখভাল বা রক্ষণাবেক্ষণ করা

উল্লেখিত কাজগুলো ছাড়াও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের তাদের পেশাগত দায়িত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে আরো নানা ধরণের কাজ করার প্রয়োজন হতে পারে।

পড়বেন কোথায়?

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সরকারি-বেসরকারি অনেক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি চাইলে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা করতে পারবেন। এছাড়াও অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলো থেকে স্নাতক বা বিএসসি সহ উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করা যায় উক্ত বিষয়ের উপর।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনাকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পেশা বা পদবী সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানিয়ে সহায়তা করতে পেরেছি। আপনার যদি উক্ত পেশা বা পদবী সংক্রান্ত আরো কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আমরা আপনার কমেন্টের যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া আপনি আরো কি বিষয়ে জানতে চান তা লিখেও কমেন্ট করতে পারেন।

পাঠক আমরা "চাকরি নিন" ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য প্রকাশিত চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো সংগ্রহ করে প্রকাশ করে থাকি। নিয়মিত সকল ধরণের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন।