বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়ক
শান্তি শপথে বলীয়ান বাংলাদেশ পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, নির্যাতিত মানুষের পাশে বন্ধুর মতো দাড়ানো এবং অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে থাকে। বাংলাদেশ পুলিশের হেড কোয়ার্টার গুলিস্তানের নগর ভবনের পশ্চিম পাশে অবস্থিত।
ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশকে সহায়তা এবং বাংলাদেশের মানুষকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় আবদ্ধ করতে আরও রয়েছে – র্যাব, ডিবি, এসবি, সিআইডি, বিট পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশ। বর্তমানে অনলাইনে জিডি করা যায়।
এছাড়া নিপীড়িত জনগণকে তাৎক্ষণিক পুলিশি সেবা প্রদান করার জন্য চালু হয়েছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস। পুলিশ বাহিনী আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, ইমিগ্রেশন এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে
জিডি শব্দটি জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল আটটায় ডায়েরী খুলে পরের দিন সকাল আটটায় বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ কার্যত এটি কখনই বন্ধ হয় না।
সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব
সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব ভিন্ন। কোন থানায় মামলাযোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে মানুষ থানায় জিডি করে থাকেন। আবার কাউকে ভয় ভীতি দেখানো হলে বা অন্য কোন কারণে যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা করেন তাহলেও তিনি জিডি করতে পারেন।
জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রয়োজনবোধে তদন্ত করা, নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও জিডির বিষয়টি মামলাযোগ্য হলে পুলিশ মামলা করে থাকে। আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য জিডি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সময় আদালতেও জিডিকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়
আবার পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বাখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এজাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন।
এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url